যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে শান্তি আনার চেষ্টা নষ্ট করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে রাশিয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন, রাশিয়া যদি ৫০ দিনের মধ্যে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতিতে না আসে, তাহলে রাশিয়ার পণ্যে ১০০ শতাংশ শুল্ক বসানো হবে এবং যারা রাশিয়ার তেল কিনবে, তাদের ওপরও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেইসঙ্গে ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র পাঠানোর ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। খবর শাফাক নিউজের।
এ সিদ্ধান্তে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কূটনৈতিক আলোচনা পরিহার করতে উৎসাহ দিচ্ছে। এত বেশি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে যে, নতুন নিষেধাজ্ঞা এখন আমাদের কাছে সাধারণ বিষয় হয়ে গেছে। হুমকি ও চাপে আমরা চলি না।
রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, এই যুদ্ধ এখন আর প্রক্সি নয়, বরং পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ। পশ্চিমা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার, স্যাটেলাইট নজরদারি, নিষেধাজ্ঞা সব মিলিয়ে এটা যুদ্ধেরই রূপ নিয়েছে। আমরা প্রথমে ন্যাটো বা ইউরোপে আক্রমণ করব না, কিন্তু যদি পশ্চিমা জড়িত থাকা আমাদের সীমা অতিক্রম করে, তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা তার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য। তবে পুতিনের আচরণে তিনি হতাশ এবং চাপ সৃষ্টি করতেই ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা বাড়ানো হচ্ছে।
যদিও রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র দুপক্ষই আলোচনায় বসার আগ্রহ দেখিয়েছে, বাস্তবে শান্তি আলোচনার কোনো অগ্রগতি হয়নি।