ঢাকাWednesday , 23 July 2025
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধূলা
  4. জাতীয়
  5. তথ্যপ্রযুক্তি
  6. ধর্ম
  7. নিউজ সারাক্ষণ এক্সক্লুসিভ
  8. বিনোদন
  9. রাজনীতি
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. সারাদেশ

জাপানের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য চুক্তির দাবি ট্রাম্পের

NEWS EDITOR
July 23, 2025 6:18 am
Link Copied!

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, জাপানের সঙ্গে তিনি একটি বিশাল বাণিজ্য চুক্তি করেছেন। ওই চুক্তির আওতায় জাপানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, এই চুক্তির অংশ হিসেবে জাপান যুক্তরাষ্ট্রে ৫৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে এবং যুক্তরাষ্ট্র সেই বিনিয়োগ থেকে ৯০ শতাংশ মুনাফা পাবে। একই সঙ্গে জাপান গাড়ি, ট্রাক, চাল এবং কিছু কৃষিপণ্যসহ তাদের বাজার যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উন্মুক্ত করবে বলেও জানান তিনি।

ট্রাম্প বলেন, এটা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুবই উত্তেজনাপূর্ণ সময়। বিশেষ করে জাপানের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক ধরে রাখার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে তিনি ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কের কথা বলেছিলেন। এপ্রিলের লিবারেশন ডে -তে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল ২৪ শতাংশ শুল্কের। সেই তুলনায় এবার প্রস্তাবিত ১৫ শতাংশ অপেক্ষাকৃত কম।

হোয়াইট হাউসে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, জাপানের শীর্ষ কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। আমরা দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা করেছি। এটা সবার জন্যই লাভজনক একটি চুক্তি।

তবে এখন পর্যন্ত জাপানের সরকার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। ওয়াশিংটন ডিসিতে জাপানি দূতাবাসের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে সিবিএস নিউজ, তবে তারা কোনো তথ্য দেয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জাপান দেশটির পঞ্চম বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। গত বছর জাপান যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৭৯.৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য কিনেছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র আমদানি করেছে ১৪৮.২ বিলিয়ন ডলারের জাপানি পণ্য। এর মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ, অর্থাৎ ৫২.৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য ছিল গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশ।

তবে ঠিক কোন কোন পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। এর আগে ট্রাম্প বিদেশি গাড়ি ও যন্ত্রাংশের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কের কথা বলেছিলেন।

মঙ্গলবার রাতে (স্থানীয় সময়) আরও একটি ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তিনি জানান, আলাস্কার তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (LNG) নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র একটি আলাদা চুক্তির দিকে এগোচ্ছে।

এর আগে ওই দিনই ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের সঙ্গে ১৯ শতাংশ শুল্কের বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দেন তিনি। এ ছাড়া মেক্সিকো, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনাও চলছে বলে জানায় ট্রাম্প প্রশাসন।

শুল্ক আরোপের হুমকি, চুক্তি করতে চাপ

চলতি জুলাই মাসে ট্রাম্প প্রশাসন প্রায় দুই ডজন দেশকে চিঠি দিয়েছে, যেখানে ১ আগস্ট থেকে তাদের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যদি তারা অন্যায্য বাণিজ্যচর্চা বন্ধে চুক্তিতে না আসে। এপ্রিলের লিবারেশন ডে -তে ঘোষিত ৯০ দিনের শুল্ক বিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক বলেন, এই চিঠিগুলোর ফলে দেশগুলো আলোচনার টেবিলে এসেছে। তারা তাদের বাজার খুলে দেবে, নইলে শুল্ক দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ছোট দেশগুলো গড়ে ১০ শতাংশ শুল্কের মুখে পড়বে, আর বড় দেশগুলোর জন্য হার আরও বেশি হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৩ সালে গড়ে শুল্ক হার ছিল মাত্র ২.৫ শতাংশ। ট্রাম্পের দাবি, এই শুল্কনীতিই যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন খাত পুনরুজ্জীবিত করবে, অন্যায্য বাণিজ্য চর্চা রোধ করবে এবং সরকারের রাজস্ব বাড়াবে।

তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, শুল্ক বৃদ্ধির ফলে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে যেতে পারে।

ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল এর আগে জানান, ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রভাবে ভোক্তামূল্য বেড়ে যেতে পারে, তাই সুদের হার এখনো তুলনামূলক বেশি রাখা হয়েছে।

তবে লুটনিক দাবি করেন, আমার মনে হয় মূল্যস্ফীতি যেখানে আছে সেখানেই থাকবে; বরং শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন খাতের জন্য সহায়ক হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।