স্টার কেটসের ওয়ার্নার পার্কে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে ব্যাটিং নেওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০৫ রানের বিশাল পুঁজি দাঁড় করালেও তা রক্ষা করতে পারল না। ব্যাটারদের মারকুটে ব্যাটিংয়ে দুইশোর্ধ্ব স্কোরকেও ছেলেখেলা বানাল মিচেল মার্শের দল।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ক্যামেরন গ্রিন খেলেন অপরাজিত ৫৫ রানের ইনিংস, যা ছিল সিরিজে তার তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি। আর গ্রিনের আগে শুরুতে টেম্পো সেট করে দেন জশ ইংলিস ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
২০৫ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরুটা মোটেই ভালো ছিল না অস্ট্রেলিয়ার। অধিনায়ক মিচেল মার্শ প্রথম ওভারেই ফিরলেন মাত্র ১ রানে, ক্যারিবীয় পেসার জেদিয়াহ ব্লেডসের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অভিষেক উইকেট হয়ে। যদিও রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন।
তবে এরপর ইংলিস ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ৬৬ রানের জুটি মেরুদণ্ড হয়ে দাঁড়ায়। ম্যাক্সওয়েল করেন ১৮ বলে ৪৭ রান, যা এই সিরিজে তার সর্বোচ্চ স্কোর। যদিও মিড ইনিংস বিরতির পরপরই তাকে ফিরিয়ে দেন আকিল হোসেইন।
কিছুটা চাপে পড়ে যায় অজিরা যখন ব্লেডস তিন বলে তুলে নেন মিচেল ওয়েন ও কুপার কনোলিকে। ১৩৪/৫ স্কোরে খানিকটা বিপর্যয়ে পড়ে যায় দল।
এই সময় দায়িত্ব নেন ক্যামেরন গ্রিন। হার্ডির (২৪) সঙ্গে ৫১ রানের মূল্যবান জুটি গড়ে দলকে জয়ের কিনারে নিয়ে যান তিনি। শেষদিকে ব্যার্টলেট রান-আউট হলেও শেষ রানের জন্য ছিলেন শন অ্যাবট, যিনি বৃষ্টি শুরু হওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে জয়সূচক রানটি তুলে নেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সবচেয়ে ভালো ব্যাটিং করেন শারফেইন রাদারফোর্ড মাত্র ১৫ বলে ৩১। পাশাপাশি রভম্যান পাওয়েল, রোমারিও শেফার্ড ও জেসন হোল্ডার তিনজনই করেন ২৫ রানের আশপাশে।
তবে বল হাতে অস্ট্রেলিয়ান আরন হার্ডি ছিলেন দুর্দান্ত, ৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়ে তুলে নেন ২ উইকেট। অ্যাডাম জ্যাম্পা পান ৩টি উইকেট, ব্যার্টলেট ও অ্যাবট নেন ২টি করে।
এই জয়ে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে টানা সাতটি ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়ল অস্ট্রেলিয়া। এর আগে তারা ৩-০তে জিতেছিল টেস্ট সিরিজও।
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতেছিল ৩ উইকেটে। দ্বিতীয় ম্যাচে ইংলিস-গ্রিনের আগ্রাসনে ৮ উইকেটের সহজ জয়, যা ছিল আন্দ্রে রাসেলের বিদায়ী ম্যাচ। তৃতীয় ম্যাচে টিম ডেভিডের ৩৭ বলে শতকে সিরিজ নিশ্চিত করে অজিরা।
সিরিজের শেষ ম্যাচটি হবে আগামী মঙ্গলবার, একই মাঠে। ৫-০ তে হোয়াইটওয়াশ কি এবার এড়াতে পারবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ?