ঢাকাMonday , 14 July 2025
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধূলা
  4. জাতীয়
  5. তথ্যপ্রযুক্তি
  6. ধর্ম
  7. নিউজ সারাক্ষণ এক্সক্লুসিভ
  8. বিনোদন
  9. রাজনীতি
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. সারাদেশ

চাঁদাবাজি হারাম, ৪ ধরনের শাস্তির বিধান ইসলামে

NEWS EDITOR
July 14, 2025 5:15 pm
Link Copied!

চাঁদাবাজি অত্যন্ত ঘৃণিত ও গর্হিত অপরাধ। এটা একধরনের দস্যুতা। ইসলামের দৃষ্টিতে চাঁদাবাজি হারাম ও কবিরা গুনাহ। চাঁদাবাজির কারণে পরকালে ভীষণ শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

শান্তির ধর্ম ইসলাম বলছে, চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত সবাই গুনাহগার। চাঁদা উত্তোলনকারী, চাঁদা লেখক ও চাঁদা গ্রহণকারী সবাই ওই গুনাহর সমান অংশীদার।

আর চাঁদাবাজদের জন্য ৪ ধরনের শাস্তি রেখেছেন মহান আল্লাহ।

ইসলামের বিধান, কারো কাছ থেকে জোর করে টাকা নেওয়াই হারাম। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ কোরো না এবং এ উদ্দেশ্যে বিচারকের কাছে এমন কোনো মামলা কোরো না যে মানুষের সম্পদ থেকে কোনো অংশ জেনেশুনে গ্রাস করার গুনাহে লিপ্ত হবে। (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৮)

রাসুল (সা.) বলেন, কোনো মুসলমানের সম্পদ তার আন্তরিক সম্মতি ছাড়া হস্তগত করলে তা হালাল হবে না। (বায়হাকি, শুআবুল ঈমান, হাদিস : ১৬৭৫৬)

চাঁদাবাজদের ৪ ধরনের শাস্তি হবে পরকালে

আল্লাহর জমিনে ত্রাস ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপরাধে চাঁদাবাজদের চারটি শাস্তির যেকোনো একটি শাস্তি দিতে হবে। এমন অপরাধীদের হত্যা করতে হবে অথবা ফাঁসি দিতে হবে অথবা এক দিকের হাত এবং অন্য দিকের পা কেটে ফেলতে হবে অথবা অন্য এলাকার জেলে বন্দি করে রাখতে হবে যতক্ষণ না তারা তাওবা করে নিজেদের শুধরে নেয়।

পবিত্র কুরআনে সুরা মায়িদাহ এর ৩৩ নম্বর আয়াতে এ বিষয়ে বলা হয়েছে।

আল্লাহ তা লা বলেন, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সঙ্গে যুদ্ধ কিংবা প্রকাশ্য শত্রুতা পোষণ করে অথবা আল্লাহ ও রাসুলের বিধি-বিধানের ওপর হঠকারিতা দেখায় এবং (হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের মাধ্যমে) ভূ-পৃষ্ঠে অশান্তি ও ত্রাস সৃষ্টি করে বেড়ায়, তাদের শাস্তি এটাই যে তাদের হত্যা করা হবে অথবা ফাঁসি দেওয়া হবে অথবা এক দিকের হাত এবং অন্য দিকের পা কেটে ফেলা হবে অথবা অন্য এলাকার জেলে বন্দি করে রাখা হবে যতক্ষণ না তারা খাঁটি তাওবা করে নেয়। এটা তাদের জন্য পার্থিব ভীষণ অপমান আর পরকালেও তাদের জন্য ভীষণ শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে…। (সুরা : মায়িদাহ, আয়াত : ৩৩)

গুনাহ এনে চাপিয়ে দেওয়া হবে

পাশাপাশি মানুষ থেকে কেড়ে নেওয়া অধিকার তাদের অবশ্যই ফিরিয়ে দিতে হবে। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের ওপর জুলুম করেছে, সে যেন তার কাছ থেকে ক্ষমা নিয়ে নেয় তার ভাইয়ের পক্ষে তার কাছ থেকে পুণ্য কেটে নেওয়ার আগেই। কারণ সেখানে (আখিরাতে) কোনো দিনার বা দিরহাম পাওয়া যাবে না। তার কাছে যদি পুণ্য না থাকে, তাহলে তার (মজলুম) ভাইয়ের গুনাহ এনে তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে। (মুসলিম, হাদিস : ১৮৮৫)

চাঁদা উত্তোলনকারী, ভোগকারী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সরাসরি জালিম অথবা জালিমের সহযোগী। ইহকাল ও পরকালে তারা কঠিন শাস্তির উপযোগী। আল্লাহ তাআলা বলেন, শুধু তাদের বিরুদ্ধেই (শাস্তির) ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, যারা মানুষের ওপর অত্যাচার করে এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ আচরণ করে বেড়ায়। বস্তুত তাদের জন্য আছে বেদনাদায়ক শাস্তি। (সুরা শুরা, আয়াত : ৪২)

 

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।