থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২-এ দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৩০ জন। গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এই সংঘাত এখনও অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উভয় দেশেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
কম্বোডিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যালি সোচেয়েতা শনিবার জানান, সর্বশেষ ১২ জন নিহতের মধ্যে সাতজন বেসামরিক ও পাঁচজন সেনাসদস্য। এ নিয়ে কম্বোডিয়ার পক্ষের মোট হতাহতের সংখ্যা দাঁড়াল ৮ জন সেনাসদস্য ও ৮ বেসামরিক নাগরিক। আহত হয়েছেন অন্তত ৭০ জন।
এদিকে থাইল্যান্ড জানিয়েছে, তাদের পক্ষেও এখন পর্যন্ত ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক ও ৬ জন সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫৯ জন। দেশটির সীমান্তবর্তী ৮টি জেলায় সামরিক আইন জারি করা হয়েছে এবং খুলে দেওয়া হয়েছে প্রায় ৩০০টি আশ্রয়কেন্দ্র। নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ।
কম্বোডিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় প্রেয়াহ বিহার প্রদেশ থেকেও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। দেশটির সংবাদপত্র খামের টাইমস জানিয়েছে, থাই সেনাদের কামানের গোলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং বহু বেসামরিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে।
সংঘাতের সূত্রপাত বৃহস্পতিবার একটি বৌদ্ধমন্দিরে রকেট হামলার মাধ্যমে। কম্বোডিয়া দাবি করেছে, ওই হামলা চালিয়েছে থাই সেনারা। হামলায় প্রাণ হারান এক বেসামরিক ব্যক্তি, যিনি মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কম্বোডিয়ার জাতিসংঘ দূত চেয়া কেও অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান এবং শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের দাবি জানান।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিকোরন্দেজ বালানকুরা জানিয়েছেন, কম্বোডিয়া যদি কূটনৈতিকভাবে বা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আলোচনায় আগ্রহ দেখায়, তবে থাইল্যান্ডও প্রস্তুত রয়েছে।